মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের হুমকি - ইরান বনাম ইসরায়েল

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা: যুদ্ধ কি আসন্ন?

মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উত্তেজনার বাতাস বইছে। সামরিক শক্তির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে ইরান ও ইসরায়েল। গত মঙ্গলবার ইরান ইসরায়েলের ওপর ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে, যার মধ্যে ৮০% ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আঘাত করেছে বলে দাবি করছে ইরান। এই হামলার পরপরই ইসরায়েল কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। 

ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনা

ইরান বনাম ইসরায়েল


ইসরায়েল কি পাল্টা আঘাত করবে?

ইসরায়েল এখনো তাদের পরিকল্পিত প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা প্রকাশ করেনি। তবে এই উত্তেজনার মাঝে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাকে সমর্থন করেন না। অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের উচিত বলে মনে করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় প্রথমে আঘাত হানা।


সামরিক শক্তিতে ইরান কতটা শক্তিশালী?


ইরান এবং ইসরায়েলের সামরিক শক্তি নিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ১৪৫টি দেশের মধ্যে সামরিক শক্তিতে ইরান ১৪তম অবস্থানে রয়েছে, যেখানে ইসরায়েল রয়েছে ১৭তম স্থানে। অর্থাৎ, সামরিক পরিসংখ্যানে ইরান তিন ধাপ এগিয়ে রয়েছে। তবে প্রতিটি দেশের সামরিক শক্তির মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে ইরান এগিয়ে থাকলেও, অন্য ক্ষেত্রে ইসরায়েল শক্তিশালী।


যুদ্ধের সম্ভাবনা ও ফলাফল


যদি এই দুটি দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে এর প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং এর পরিণাম পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। দুই দেশের সামরিক প্রস্তুতি ও বর্তমান অবস্থান যুদ্ধে কে জয়ী হতে পারে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা কঠিন, তবে অস্ত্রের শক্তি এবং কৌশলগত অবস্থান দুটি দেশকেই প্রতিযোগিতামূলক করে তুলেছে।


উপসংহার


এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। ইরান ও ইসরায়েল উভয়েই সামরিক শক্তিতে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে পুরো বিশ্বই একটি গুরুতর সংকটের মুখে পড়তে পারে।  


ভিডিওটি দেখুন এবং আরও জানতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ' BD TV ' এ সাবস্ক্রাইব করুন! 



No comments:

Recent Posts

recentposts
Powered by Blogger.